করোনা মহামারীতে বিশ্ব নাকাল। ব্যক্তি জীবন থেকে শুরু করে পারিবারিক ও সামাজিক জীবনের এর কুপ্রভাব পড়েছে। করোনার সময়ে তো বিয়ে বন্ধই ছিলো। এখন বিয়ের অনুষ্ঠান হলেও তা খুবই সীমিত পরিসরে হচ্ছে। কেনা কাটা এবং আয়োজনেও থাকছে সীমিত আকার।
বিয়ের আয়োজনের বড় অংশটি খাবারদাবারের। এ খাবারদাবারের ব্যবসার জন্য ঢাকার কনভেনশন হল ও কমিউনিটি সেন্টারকেন্দ্রিক ছোট–বড় প্রায় ৫০টি ক্যাটারিং ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে।
বিয়ের বাজারের মন্দার কারণে এসব ক্যাটারিং প্রতিষ্ঠান এখন বিয়েবাড়ির খাবারের বদলে বাড়িতে বাড়িতে খাবার সরবরাহ করছে। জানতে চাইলে ইকবাল ক্যাটারিংয়ের মুখপাত্র মো. নাসিম বলেন, ‘যত দিন বিয়ে এবং অন্যান্ অনুষ্ঠান বন্ধ ছিল, আমরা বাড়িতে খাবার সরবরাহের কাজ করেছি।’
বিয়ের আয়োজনের সঙ্গে যুক্ত রয়েছে সাজসজ্জার ব্যবসাও। বিয়েবাড়ির ফটক থেকে শুরু করে বর-কনের মঞ্চসজ্জায়ও ছিল নানা বৈচিত্র্য।
বিয়ে ও নানা সামাজিক অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে হাল আমলে গড়ে ওঠা ফটোগ্রাফি ব্যবসাও ধাক্কা খেয়েছে করোনার কারণে। বিয়ের ছবি তোলার জন্য গড়ে ওঠা প্রতিষ্ঠান ড্রিম ওয়েভারের সহপ্রতিষ্ঠাতা জোবায়ের হোসাইন বলেন, ‘আগে যেখানে তিনজন ফটোগ্রাফার পাঠাতাম ছবি তোলার জন্য, সেখানে এখন একজন দিয়ে কাজ চলছে।’
বিয়ের পোশাক তৈরির প্রতিষ্ঠান নাবিলা শাড়িজের পরিচালন কর্মকর্তা নাবিলা নবী বলেন, ‘বিয়ের মৌসুমে বর–কনের পোশাক ছাড়াও দুই পক্ষের অনেক মানুষের জামাকাপড় কেনাকাটার প্রবণতা কয়েক বছর ধরে দেখে আসছি। এ বছর দেখছি মানুষ শুধু কনের পোশাকই কিনছে।
এ ছাড়া বিয়ের আয়োজনের কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকেন বেয়ারা, মালামাল আনা-নেওয়ার জন্য শ্রমিক। এঁদের বড় অংশই এখন কাজ হারিয়েছেন। সব মিলিয়ে ১০ হাজার কোটি টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে বলে মনে করেন ইন্টারন্যাশনাল কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা এম এম জসীম উদ্দিন।